অ্যাভোমিটার বা মাল্টিমিটার

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
39
39

২.২.৯ অ্যাভোমিটার বা মাল্টিমিটার

যে যন্ত্রের সাহায্যে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিষ্ট্যান্স পরিমাপ করা যায় তাকে অ্যাভোমিটার বলে । এই মিটারের সাহায্যে একের অধিক ইলেকট্রিক্যাল রাশিকে পরিমাপ করা যায় তাই একে মাল্টিমিটার বলে। AVO শব্দটি Ampere এর প্রথম অক্ষর A, Volt মিটারের প্রথম অক্ষর V এবং Ohms মিটারের প্রথম অক্ষর O নিয়ে গঠিত হয়েছে। 

ব্যবহার 

এই মিটারকে অ্যামিটার, ভোল্টমিটার ও ওহম মিটার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই মিটারের সাহায্যে AC ও DC উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। এই মিটার ব্যবহার করার জন্য আলাদা সোর্স ব্যবহার করা হয় বলে এর সাহায্যে উচ্চতর রেজিট্যান্স (M2 এর উপরে) ইন্ডাকট্যান্স এবং ক্যাপাসিট্যান্স পরিমাপ করা যায়।

অ্যাভোমিটার বা মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম-

  • পরিমাপের আগে প্রতিবারই রোটারী সুইচ নির্ধারিত রেঞ্জে স্থাপনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
  • কারেন্ট পরিমাপের জন্য সিলেক্টর সুইচকে কন্ট্রোল প্যানেলের কারেন্ট রেঞ্জে রাখতে হবে। আর যদি পরিমাপকৃত কারেন্ট সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে সিলেক্টর সুইচকে মিটারের সর্বোচ্চ রেঞ্জে রাখতে হবে। কারেন্ট পরিমাপের জন্য মিটারকে লোডের সাথে সিরিজি সংযোগ করতে হবে। ডোস্টেজ পরিমাপের জন্য সিলেক্টর সুইচকে মিটারের ভোল্টেজ রেঞ্জে রাখতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে পরিমাপকৃত ভোল্টেজ যেন মিটারের রেঞ্জের থেকে বেশি না হয়। এসি এবং ডিসি ভোল্টেজ পরিমাপের জন্য মিটারের সিলেক্টর সুইচ আলাদা আলাদা স্থানে সিলেক্ট করতে হবে। ভোল্টেজ পরিমাপের সময় মিটারকে প্যারালালে ব্যবহার করতে হবে।
  •  রেজিষ্ট্যান্স পরিমাপের জন্য সিলেক্টর সুইচকে ওহম রেঞ্জে নিতে হবে এবং মিটারের দুটি টার্মিনাল শর্ট করে এ্যাডজার্টেবল নরের সাহায্যে মিটারের পয়েন্টারকে শুন্যতে এ্যাডজটি করতে হবে । 
  • পরিমাপধীন ভোল্টেজ বা কারেন্টের রেছ জানা না থাকলে তবে পরিমাপ সবসময় সর্বোচ্চ রেঞ্জ হতে শুরু করতে হবে ।

অ্যাডোমিটারের বিভিন্ন অংশের নাম-

  • দাগ কাঁটা ক্ষেন (DC কারেন্ট, AC/DC ডোস্টেজ এবং রেজিষ্ট্যান্স) 
  • রোটারী সুইচ 
  • নির্দেশক কাঁটা 
  • এ্যাডজাষ্টিং সব এবং 
  • দু'টি টার্মিনাল (নেগেটিভ / পজেটিভ) ।

অ্যাডোমিটার ক্যালিব্রেট 

মিটারের কাটা সাধারণ অবস্থায় শূন্য "০" অবস্থানে থাকে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এটি উপরে বা নিচে নেমে যেতে পারে। এই অবস্থার যদি আমরা পরিমাপ করি তাহলে সঠিক মাপ পাব না। এই সমস্যা সমাধান করতে অ্যাডোমিটার ক্যালিব্রেট করতে হবে।

অ্যাডোমিটার ক্যালিব্রেট করার পদ্ধতি - 

১। সিলেক্টর সুইচকে ওহম পজিশনে আনি; 

২। মিটার প্রোব দুইটি যথাস্থানে স্থাপন করি; 

৩। মিটারের পাঠ শূন্য ”০” অবস্থানে আছে কিনা দেখি; 

৪। শূন্য "০” অবস্থানে না থাকলে ব্যালেন্স কি/এ্যাডজাস্টিং ক্রু ঘুরিয়ে কাঁটা শূন্য অবস্থানে আনি ।

 

একই নিয়মে অন্যান্য মিটারগুলো ক্যলিব্রেট করে নিচের ছকটি পূরণ করি

 

 

Content added By
Promotion